বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |  কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪

  |  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |   কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

বঙ্গমাতা সেতু উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আরেকটি স্বপ্ন পূরণ

বার্তা সরণি প্রতিবেদন

বার্তা সরণি প্রতিবেদন

| অনলাইন সংস্করণ

পিরোজপুর সদরের কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের চামেলী হল প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-বরিশাল-মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়াতে কঁচা নদীর ওপর নির্মিত ‘৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন হলো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আরো একটি স্বপ্ন।
সেতুটি খুলে যাওয়ায় পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে আসবে আমূল পরিবর্তন। বরিশালের সঙ্গে খুলনার সড়ক যোগাযোগে থাকবে না কোনো ফেরি। ব্যবসার ক্ষেত্রে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে বিধায় ব্যবসায়ীরা পাবেন ব্যাপক সুবিধা। পাশাপাশি বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার সঙ্গে যশোর ও খুলনার দূরত্ব এক ঘণ্টারও বেশি কমে যাবে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি চালু হওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে খুলনা হয়ে বরিশাল, কুয়াকাটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্নের দুয়ার খুলে গেল। এর ফলে গতি আসবে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য দেন। সড়ক পরিবহন ও সহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী অনুষ্ঠানে একটি পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও চিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

এ উপলক্ষে বঙ্গমাতা সেতু এলাকায় পশ্চিম এবং পূর্বপাড়ে দু’টি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পশ্চিমপাড়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পূর্বপাড়ে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন। এতে যোগ দিয়েছেন সেতুর দুই প্রান্তের হাজারও মানুষ। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সড়কের দুই পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে।

২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে।
৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের। গেল ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি-কোটি মানুষের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এর মাধ্যমে বিভাগীয় শহর বরিশালের সঙ্গে বিভাগীয় শহর ও শিল্পনগরী খুলনার সড়ক যোগাযোগে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং গভীর সমুদ্রবন্দর পায়রার সঙ্গে দেশের ২য় সমুদ্রবন্দর মোংলা ও সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে এবং সর্বোপরি পিরোজপুরের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

শীত বস্ত্র বিতরণ করলো মোহাম্মদ নাসিম ফাউন্ডেশন

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের সাহায্যে শীত নিবারণ করছে পাবনার সাঁথিয়াবাসী। শীতের তীব্রতা অনেকাংশই বেশি এখানে। এছাড়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির...

মেধাবি সিয়ামের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মানবিক এমপি জয়

মানবতায় এগিয়ে আসলেন সিরাজগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ও উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। এসএসসি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগ থেকে রাজশাহী বোর্ডে প্রথম...

বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না : মেয়র তাপস

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ১৯৭২ সালের ১০...

পিরোজপুর সদরের কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ের চামেলী হল প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সেতুটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-বরিশাল-মোংলা-খুলনা মহাসড়কের বেকুটিয়াতে কঁচা নদীর ওপর নির্মিত ‘৮ম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু। এটি উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন হলো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আরো একটি স্বপ্ন।
সেতুটি খুলে যাওয়ায় পিরোজপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে আসবে আমূল পরিবর্তন। বরিশালের সঙ্গে খুলনার সড়ক যোগাযোগে থাকবে না কোনো ফেরি। ব্যবসার ক্ষেত্রে দ্রুত যাতায়াত করা যাবে বিধায় ব্যবসায়ীরা পাবেন ব্যাপক সুবিধা। পাশাপাশি বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার সঙ্গে যশোর ও খুলনার দূরত্ব এক ঘণ্টারও বেশি কমে যাবে।

গুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি চালু হওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে খুলনা হয়ে বরিশাল, কুয়াকাটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বপ্নের দুয়ার খুলে গেল। এর ফলে গতি আসবে এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বক্তব্য দেন। সড়ক পরিবহন ও সহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী অনুষ্ঠানে একটি পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও চিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

এ উপলক্ষে বঙ্গমাতা সেতু এলাকায় পশ্চিম এবং পূর্বপাড়ে দু’টি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পশ্চিমপাড়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও পূর্বপাড়ে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু উপস্থিত ছিলেন। এতে যোগ দিয়েছেন সেতুর দুই প্রান্তের হাজারও মানুষ। সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সড়কের দুই পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে।

২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুতে ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে।
৮৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে চায়না রেলওয়ে ১৭ ব্যুরো গ্রুপ লিমিটেড নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা চীন সরকার এবং বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকারের। গেল ৭ আগস্ট ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করেন।


সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি-কোটি মানুষের আরও একটি স্বপ্ন পূরণ হলো। এর মাধ্যমে বিভাগীয় শহর বরিশালের সঙ্গে বিভাগীয় শহর ও শিল্পনগরী খুলনার সড়ক যোগাযোগে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকছে না। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং গভীর সমুদ্রবন্দর পায়রার সঙ্গে দেশের ২য় সমুদ্রবন্দর মোংলা ও সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে এবং সর্বোপরি পিরোজপুরের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।