যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগরের সুন্দলী ইউনিয়নের মেম্বার উত্তম সরকার হত্যা মামলা চরমপন্থি দলের নেতা কিরণসহ ২০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। বুধবার আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- পটুয়াখালী সদরের পুরান বাজার এলাকার মৃত নারায়ণ চন্দ্র সাহার ছেলে চরমপন্থী দলের নেতা বাসুদেব সাহা ওরফে কিরণ ওরফে মাহমুদুর রহমান, যশোরের অভয়নগরের ফুলেরগাতি গ্রামের মৃত মনোহর মল্লিকের ছেলে অর্ধেন্দু মল্লিক, তার স্ত্রী ইতিকা মল্লিক, ডহর মশিয়াহাটি গ্রামের অখিল বিশ্বাসের ছেলে অমিতাভ বিশ্বাস, বারান্দী গ্রামের পশ্চিম এলাকার মহন্ত দাসের ছেলে অনুপম দাস, কচুয়া গ্রামের প্রফুল্ল বিশ্বাস প্রদীপের ছেলে সাধন বিশ্বাস, সুন্দলী পূর্বপাড়ার মৃত ভদ্দরী বিশ্বাসের ছেলে প্রজিৎ কুমার বিশ্বাস ওরফে বুলেট, আন্দা গ্রামের গনেশ মল্লিকের ছেলে দীপঙ্কর, ফুলেরগাতি গ্রামের নগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে অসীম রায়, রামসরা গ্রামের নিখিল মণ্ডলের ছেলে দীপঙ্কর মণ্ডল, মণিরামপুরের পাঁচকাটিয়া গ্রামের নির্মল পাড়ের ছেলে পলাশ পাড়ে ওরফে ছোট দীপঙ্কর, পাঁচাকড়ি গ্রামের সহদেব বিশ্বাসের ছেলে অজয় বিশ্বাস, সুজাতপুর গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে পল্লব বিশ্বাস ওরফে সুদীপ্ত, গাবখালী গ্রামের সাধন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস, খুলনা ডুমুরিয়ার দিঘলিয়া গ্রামের মৃত বিষ্ণুপদ মণ্ডলের ছেলে বিজন চন্দ্র মণ্ডল ওরফে বিনোদ, রুদাঘরা গ্রামের উত্তরপাড়ার সুভাষ মণ্ডলের ছেলে শুভঙ্কর মণ্ডল, একই গ্রামের ইসাহাক গোলদারের ছেলে ইকরামুল গোলদার ওরফে জুয়েল, চহেড়া গ্রামের রামপদ ফকিরের ছেলে মহিতোষ সরকার, সাতক্ষীরার শ্যামনগরের দক্ষিণ কদমতলার মৃত শিবপদ মণ্ডলের ছেলে প্রশান্ত মণ্ডল, বাগেরহাট শহরের আলিয়া মাদ্রাসা রোডের সৈয়দ নাজমুলের বাড়ির ভাড়াটিয়া নুরু আব্দুল শেখের ছেলে হাসান শেখ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রাতে অভয়নগরের হরিশংকরপুর গ্রামে নিজ বাড়ির কাছে চরমপন্থিদের গুলিতে নিহত হন সুন্দলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার উত্তম সরকার। এ ঘটনায় তার পরিবার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি পুলিশ। এরপর তদন্তকালে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে ডিবি পুলিশ জানতে পারে, ইউপি নির্বাচনে জয়লাভে কাজ করতে চরমপন্থি নেতা কিরণের সঙ্গে দেড় লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন উত্তম সরকার। প্রথমে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় কিণরকে। নির্বাচনে জয়লাভের পর বাকি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিতে গড়িমসি করেন উত্তম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নেতা কিরণ। এরই মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অর্ধেন্দু মল্লিক গোপনে কিরণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন উত্তম সরকারকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য।
গত ১০ জানুয়ারি রাতে উত্তম সরকারকে হত্যা করেন চরমপন্থিরা। এ মামলার তদন্তকালে গ্রেফতার আসামিদের দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের দেওয়া বক্তব্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই ২০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার ও সাতজনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
ইউপি মেম্বার উত্তম হত্যা মামলায় ২০ জনের নামে চার্জশিট
বার্তা সরণি প্রতিবেদন
বার্তা সরণি প্রতিবেদন
| অনলাইন সংস্করণ