রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |  কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

  |  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |   কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

৭০ বছর ধরে যুক্তরাজ্য শাসন করে আসছিলেন

রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু

বার্তা সরণি প্রতিবেদন

বার্তা সরণি প্রতিবেদন

| অনলাইন সংস্করণ

সত্তর বছর ধরে যুক্তরাজ্য শাসন করে আসা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। ৯৬ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে। কয়েক মাস আগেই রানির সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপন করা হয়েছিল। এরপর রানি গ্রীষ্মকালীন বিশ্রামে ছিলেন এবং গত জুলাই মাস থেকে স্কটল্যান্ডের বারমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটেছে। তার অসুস্থতার খবরে এদিন সেখানে ছুটে যান প্রিন্স চার্লসসহ তার সন্তান-সন্ততিরা।
প্রায় একবছর ধরেই রানির স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছিল না। তার চলাফেরায় সমস্যা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে। অসুস্থতার কারণে গত শরৎ থেকে তিনি বহু অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি। রানির পক্ষ থেকে তার ছেলে প্রিন্স চার্লস ওইসব দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।রানির মৃত্যুতে এখন চার্লসই রাজা হচ্ছেন।
রানি গত ১২ মাসে বিভিন্ন স্মরণ দিবস, বার্ষিক কমনওয়েলথ সার্ভিস, এবং পার্লামেন্টের স্টেট ওপেনিংয়ের মতো এমন অনেক অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেতে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে রানির কাছে গিয়েছিলেন। এটি ছিল ব্রিটিশ রাজতন্ত্র রীতির ব্যতিক্রম। সাধারণত রানি লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদে থাকেন। সেখানেই নতুন প্রধানমন্ত্রীদের অভিষেক হয়। কিন্তু এবার সেরকম হয়নি।
বৃহস্পতিবার কিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সকালে বেশকিছু পরীক্ষার পর রানির চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
রানির স্বাস্থ্য ভাল না যাওয়ায় বুধবার একটি অনলাইন বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই রানির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের এই খবর আসে। বুধবারই চিকিৎসকরা রানির বিশ্রামের প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রাসাদ থেকে রানির স্বাস্থ্য নিয়ে বিবৃতি আসাটা উদ্বেগের বলে জানিয়েছিলেন রাজকীয় লেখক রবার্ট হার্ডম্যান। বিবিসি কে তিনি বলেছিলেন, প্রাসাদ থেকে সাধারণত রানির স্বাস্থ্য নিয়ে এমন বুলেটিন দেওয়া হয় না, যদি না সেটি গুরুতর হয়। রানির অসুস্থতার খবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছিলেন, রানির অসুস্থতার খবরে পুরো দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

শীত বস্ত্র বিতরণ করলো মোহাম্মদ নাসিম ফাউন্ডেশন

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের সাহায্যে শীত নিবারণ করছে পাবনার সাঁথিয়াবাসী। শীতের তীব্রতা অনেকাংশই বেশি এখানে। এছাড়া গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির...

মেধাবি সিয়ামের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মানবিক এমপি জয়

মানবতায় এগিয়ে আসলেন সিরাজগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ও উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। এসএসসি পরীক্ষায় বাণিজ্য বিভাগ থেকে রাজশাহী বোর্ডে প্রথম...

বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না : মেয়র তাপস

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি ১৯৭২ সালের ১০...

সত্তর বছর ধরে যুক্তরাজ্য শাসন করে আসা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। ৯৬ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়েছে বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে। কয়েক মাস আগেই রানির সিংহাসনে আরোহনের ৭০ বছর উদযাপন করা হয়েছিল। এরপর রানি গ্রীষ্মকালীন বিশ্রামে ছিলেন এবং গত জুলাই মাস থেকে স্কটল্যান্ডের বারমোরাল প্রাসাদে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু ঘটেছে। তার অসুস্থতার খবরে এদিন সেখানে ছুটে যান প্রিন্স চার্লসসহ তার সন্তান-সন্ততিরা।
প্রায় একবছর ধরেই রানির স্বাস্থ্য ভাল যাচ্ছিল না। তার চলাফেরায় সমস্যা হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে। অসুস্থতার কারণে গত শরৎ থেকে তিনি বহু অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি। রানির পক্ষ থেকে তার ছেলে প্রিন্স চার্লস ওইসব দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।রানির মৃত্যুতে এখন চার্লসই রাজা হচ্ছেন।
রানি গত ১২ মাসে বিভিন্ন স্মরণ দিবস, বার্ষিক কমনওয়েলথ সার্ভিস, এবং পার্লামেন্টের স্টেট ওপেনিংয়ের মতো এমন অনেক অনুষ্ঠানেই অংশ নিতে পারেননি। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেতে স্কটল্যান্ডের বালমোরালে রানির কাছে গিয়েছিলেন। এটি ছিল ব্রিটিশ রাজতন্ত্র রীতির ব্যতিক্রম। সাধারণত রানি লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদে থাকেন। সেখানেই নতুন প্রধানমন্ত্রীদের অভিষেক হয়। কিন্তু এবার সেরকম হয়নি।
বৃহস্পতিবার কিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘সকালে বেশকিছু পরীক্ষার পর রানির চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
রানির স্বাস্থ্য ভাল না যাওয়ায় বুধবার একটি অনলাইন বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়। তারপরই রানির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের এই খবর আসে। বুধবারই চিকিৎসকরা রানির বিশ্রামের প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রাসাদ থেকে রানির স্বাস্থ্য নিয়ে বিবৃতি আসাটা উদ্বেগের বলে জানিয়েছিলেন রাজকীয় লেখক রবার্ট হার্ডম্যান। বিবিসি কে তিনি বলেছিলেন, প্রাসাদ থেকে সাধারণত রানির স্বাস্থ্য নিয়ে এমন বুলেটিন দেওয়া হয় না, যদি না সেটি গুরুতর হয়। রানির অসুস্থতার খবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার সুস্থতা কামনা করে বার্তা দিয়েছিলেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেছিলেন, রানির অসুস্থতার খবরে পুরো দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।