চলতি বছরের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ২০২৩–২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য করেই দলকে আরও সুসংগঠিত ও স্মার্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আজ শনিবার সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ইউনিটগুলোর মধ্যে সদস্য সংগ্রহ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে আরও সুসংগঠিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এ জন্য সারা দেশে দলের কোন্দল-কলহ দূর করতে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ এখন বুঝে গেছে, বিএনপির আন্দোলনের ডাক দুরভিসন্ধিমূলক ফাঁকা আওয়াজ, যা মিথ্যাবাদী রাখাল ও বাঘের শিশুতোষ গল্পের কাহিনি ছাড়া আর কিছু নয়।
বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে, তা জানতে চাওয়ায় আওয়ামী লীগ নাকি জনগণকে বিভ্রান্ত করছে—বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রশ্ন আওয়ামী লীগের নয়। এই প্রশ্ন জনগণের। জনগণই জানতে চেয়েছে, বিএনপির আন্দোলনের নেতা কে? বিএনপি যাঁকে আন্দোলনের নেতা বলছে, সে তো দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছেন। জনগণ সেই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনতে কেন গণ–অভ্যুত্থান করবে?বিজ্ঞাপন
বিএনপি কী চায়, নিজেরাও জানে না
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন ও নির্বাচনের ব্যর্থতা থেকেও বিএনপি শিক্ষা নিতে পারেনি। তারা কখনো নিরপেক্ষ সরকার, কখনো নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে। এখন আবার জাতীয় সরকারের ভূত মাথায় ঢুকেছে। আসলে বিএনপি কী চায়, তা নিজেরাও জানে না।
এদিক-ওদিক না ঘুরে এখনই বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সময় ও স্রোত যেমন কারও জন্য অপেক্ষা করে না, নির্বাচনও বিএনপির জন্য অপেক্ষা করবে না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রমুখ।