ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। এই মুক্ত পেশায় তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বেশি। ঘরে বসে বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তির নানা কাজ করে আয় করেন ফ্রিল্যান্সাররা। সহজ কথায়, ফিল্যান্সিং হলো- ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসে অন্য কারও কাজ করে দেওয়া এবং সেখান থেকে আয় করা। কিন্তু শুরুটা কীভাবে, ফ্রিল্যান্সার হতে কী জানতে হবে- এসব বিষয় নিয়ে আজকের আয়োজন।
ফ্রিল্যান্সিং বলতে বোঝায় :
১) মুক্ত পেশা এবং আপনি যে বিষয়ে স্কিলড সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
২) অফিস মেইনটেইন করতে হয় না কিন্তু ঘরে বসে কাজ করতে হয়।
৩) পরিপূর্ণ স্বাধীনতা কিন্তু বায়ারকে ডেটলাইন অনুসারে কাজ জমা দিতে হবে।
৪) যতখানি কাজ করবেন ঠিক ততখানি পারিশ্রমিক পাবেন, কিন্তু কাজের মান হতে হবে আন্তর্জাতিক মানের।
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পূর্বশর্ত :
১) ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনি কোন বিষয়ে (গ্রাফিক ডিজাইন, মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি) দক্ষ, তা ভালোভাবে জানতে হবে। কারণ, নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা বেশ কঠিন।
২) আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। এ জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতা উপস্থাপন করতে হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে আপনি তার কোন কোন কাজের জন্য উপযুক্ত।
৩) ইংরেজি ভাষা জানতে হবে। ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলা এবং কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে।
৪) কাজ করার সময় বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশল জানতে অনলাইনে দ্রুত এবং সঠিকভাবে তথ্য খোঁজার কৌশল জানতে হবে। কারণ, ফ্রিল্যান্স কাজ করতে গেলে মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সমাধান করা সম্ভব।
৫) ক্লায়েন্টের সমস্যা সমাধানের মনমানসিকতা থাকতে হবে। জোড়াতালি কাজ জমা দেওয়া যাবে না। ক্লায়েন্টের চাহিদামতো একাধিকবার জমা দেওয়া কাজে পরিবর্তন আনার মানসিকতাও থাকতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে কিছু কাজে স্কিল থাকতে হবে। যেমন- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি।