মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |  কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪

  |  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |   কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

spot_img

ঢাকার ৭১১ বাসে ই-টিকিটিং চালু হচ্ছে মঙ্গলবার

জনদর্পণ প্রতিবেদন

বার্তা সরণি প্রতিবেদন

| অনলাইন সংস্করণ

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:
রাজধানীতে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে যাত্রী বহনকারী বাস। প্রথম দিকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাসে চালু করা হয় ই-টিকিটিং। এবার মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে চলাচলরত ১৫টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে আগামীকাল।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে। এর ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে বলে জানান তিনি। এনায়েত উল্যাহ বলেন, বিভিন্ন সময় মোট ২১টি সার্কুলার দিয়েছি। ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে রাস্তায় মাসের পর মাস ডিউটি করিয়েছি এবং আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। বিশেষ করে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমরা বিগত দিনে সমাধান করতে পারিনি। দীর্ঘ সময় পর গেটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস এগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। তারপরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল।

পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ই-টিকিটিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এজন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।

ই-টিকিটিং চালু হলে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর যে অসম প্রতিযোগিতা সেগুলো বন্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য আরও অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।

ই-টিকিট চালু হলে গাড়ির সংখ্যা কমে যায়, এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সঠিক। শুরুর দিকে যখন আমরা ই-টিকিট দেওয়া শুরু করেছি তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেতো না। ফলে মালিকরা গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সাধারণ মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকিটিং মেশিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরও বলেন, ই-টিকিটিং সফল হলে আরও আধুনিক ব্যবস্থা করবো ভবিষ্যতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

শীত বস্ত্র বিতরণ করলো মোহাম্মদ নাসিম ফাউন্ডেশন

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের সাহায্যে শীত নিবারণ করছে পাবনার...

মেধাবি সিয়ামের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মানবিক এমপি জয়

মানবতায় এগিয়ে আসলেন সিরাজগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ও উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী তানভীর...

বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না : মেয়র তাপস

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন,...

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:
রাজধানীতে ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসছে যাত্রী বহনকারী বাস। প্রথম দিকে মিরপুরের ৩০টি কোম্পানির বাসে চালু করা হয় ই-টিকিটিং। এবার মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে চলাচলরত ১৫টি কোম্পানির বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে আগামীকাল।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে। এর ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।

বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে বলে জানান তিনি। এনায়েত উল্যাহ বলেন, বিভিন্ন সময় মোট ২১টি সার্কুলার দিয়েছি। ৯টি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করে রাস্তায় মাসের পর মাস ডিউটি করিয়েছি এবং আমি নিজেও মাঠে ছিলাম। বিশেষ করে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়টি আমরা বিগত দিনে সমাধান করতে পারিনি। দীর্ঘ সময় পর গেটলক সার্ভিস, সিটিং সার্ভিস এগুলো বন্ধ করতে পেরেছি। তারপরও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে আমাদের কাছে বারবার অভিযোগ আসছিল।

পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ই-টিকিটিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, দুজন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এজন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।

ই-টিকিটিং চালু হলে ঢাকা শহরের মধ্যে চলাচলকারী বাসগুলোর যে অসম প্রতিযোগিতা সেগুলো বন্ধ হবে কি না এমন প্রশ্নে খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ই-টিকিটিং চালু হলে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। কারণ চালকদের বেতন নির্ধারণ করা থাকবে। ই-টিকিটিংয়ের জন্য আরও অনেক বেশি টাকা নির্ধারণ করে তাদের দেওয়া হচ্ছে।

ই-টিকিট চালু হলে গাড়ির সংখ্যা কমে যায়, এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সঠিক। শুরুর দিকে যখন আমরা ই-টিকিট দেওয়া শুরু করেছি তখন মালিকরা ইনকাম ঠিকমতো পেতো না। ফলে মালিকরা গাড়ি চালাতে উৎসাহী ছিলেন না। পরবর্তী পর্যায়ে আমরা সাধারণ মালিকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসের ভেতর ই-টিকিটিং মেশিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরও বলেন, ই-টিকিটিং সফল হলে আরও আধুনিক ব্যবস্থা করবো ভবিষ্যতে।