মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪

  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |  কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

মঙ্গলবার, অক্টোবর ২২, ২০২৪

  |  ঢাকা, বাংলাদেশ  |  আজকের পত্রিকা  |  ই-পেপার  |  আর্কাইভ   |   কনভার্টার  |   অ্যাপস  |  বেটা ভার্সন

spot_img

প্রতি বছর ৩০ হাজার নতুন শিশুর জন্ম দিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে

রোহিঙ্গারা দেশের জন্য বড় বোঝা: প্রধানমন্ত্রী

জনদর্পণ প্রতিবেদন

বার্তা সরণি প্রতিবেদন

| অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যা দেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতি বছর ৩০ হাজার নতুন শিশুর জন্ম দিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস আজ রবিবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্রাজিল সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান। এই প্রেক্ষাপটে তিনি ব্রাজিলের সাথে এবং আরও তিনটি মার্কোসুর (দক্ষিণ সাধারণ বাজার) দেশ আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্তভাবে স্নাতক হবে। মার্কোসুর দেশগুলোর সাথে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে কৃষি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। কারণ দুটি দেশই কৃষিপ্রধান। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ফার্মাসিউটিক্যালস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রাজিলের বাজারে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার কারণে ফার্মা আইটেমগুলো এখন কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। শেখ হাসিনা ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার পরিবার ও ব্রাজিলের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশী আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। পাওলো ফার্নান্দো দুই দেশের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণ এবং ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ি যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

শীত বস্ত্র বিতরণ করলো মোহাম্মদ নাসিম ফাউন্ডেশন

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের সাহায্যে শীত নিবারণ করছে পাবনার...

মেধাবি সিয়ামের পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মানবিক এমপি জয়

মানবতায় এগিয়ে আসলেন সিরাজগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য ও উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান প্রকৌশলী তানভীর...

বঙ্গবন্ধুকে ফিরে না পেলে স্বাধীনতা পূর্ণতা পেতো না : মেয়র তাপস

বার্তা সরণি প্রতিবেদক:ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন,...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে, যা দেশের জন্য বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতি বছর ৩০ হাজার নতুন শিশুর জন্ম দিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস আজ রবিবার গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্রাজিল সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান। এই প্রেক্ষাপটে তিনি ব্রাজিলের সাথে এবং আরও তিনটি মার্কোসুর (দক্ষিণ সাধারণ বাজার) দেশ আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে এবং উরুগুয়ের সাথে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে একটি উন্নয়নশীল দেশে চূড়ান্তভাবে স্নাতক হবে। মার্কোসুর দেশগুলোর সাথে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শীঘ্রই চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে কৃষি সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও জোর দেন। কারণ দুটি দেশই কৃষিপ্রধান। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ফার্মাসিউটিক্যালস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রাজিলের বাজারে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার কারণে ফার্মা আইটেমগুলো এখন কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হচ্ছে। শেখ হাসিনা ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কিংবদন্তি এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি তার পরিবার ও ব্রাজিলের জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ব্রাজিল বাংলাদেশী আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে। পাওলো ফার্নান্দো দুই দেশের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণ এবং ব্যবসায়ী থেকে ব্যবসায়ি যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।