যশোর প্রতিনিধি
রাজধানী ঢাকাসহ ২১ জেলায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় রবিবার (০৮ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই দুই জেলাতেই জেঁকে বসেছে শীত। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া অনেকে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। সকালেও সড়কে আলো জ্বেলে চলছে যানবাহন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকালে যশোর শহরে রিকশা নিয়ে বের হওয়া রমজান আলী বলেন, ‘খুব ঠান্ডা পড়ছে। এত সকালে শীত ও কুয়াশার মধ্যে মানুষের চলাচল কমে গেছে। পেটে তো কিছু দিতে হবে, তাই বাধ্য হয়ে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু যাত্রী নেই। গত কয়েকদিন ধরে যাত্রী কমে যাওয়ায় আমাদের রোজগারও কমে গেছে।’
শহরের মুজিব সড়কের চায়ের দোকানি রফিকুল জানান, ‘এত শীতে কেউ সকাল সকাল বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। তাই বিক্রিও কমে গেছে।’
যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত কয়েকদিন ধরে যশোরের তাপমাত্রা নিম্নমুখী। এই শীত মৌসুমে যশোরে আজ সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। আরও কয়েকদিন একই ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে।
তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। এই সময়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাকিব রাসেল বলেন, ‘ঠান্ডায় শিশুরা ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। এ সময় বাইরে বের না হওয়ায় ভালো। জরুরি প্রয়োজনে বের হলে গরম কাপড় ও মাস্ক পরতে হবে। বাসি খাবার মোটেই খাওয়া যাবে না। কুসুম গরম পানি পান ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে।’
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজ সকালে ঢাকাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালের তুলনায় আজ রাজধানীর তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। আজকেও ঢাকাতে কুয়াশা সেভাবে কমার কোনো আভাস নেই। কুয়াশা খুবই সামান্য পরিমাণে কমলেও তাতে কোনো তাতে ঢাকার আকাশ পরিষ্কার হবে না।